ডেস্ক নিউজ : চারদিনের সফরে রবিবার সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে সিঙ্গাপুরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান বোটানিক্যাল গার্ডেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে একটি অর্কিডের নামকরণ করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এসব কথা জানান।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এই সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ (আইই)’র মধ্যে বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব বিষযক সমঝোতা স্মারক, এয়ার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কনফিডেন্সিয়াল সমঝোতা স্মারক, ডিজিটাল লিডারশিপ, ডিজিটাল ইনোভেশন ও ডিজিটাল প্রশাসন রূপান্তর সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টি (এমসিসিআই)’র সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক সংগঠন সিঙ্গাপুর ম্যান্যুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের মধ্যে পৃথক দু’টি চুক্তি সমঝোতা স্মারক।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদারের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনা করা হবে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরাম-২০১৮ ও বালাদেশ সিঙ্গাপুর বিজনেস রাউন্ডটেবল শীর্ষক দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সোমবার তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের দেয়া এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশে মানবিক সংকট তৈরি করা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের সমর্থন চাইতে পারেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
আগামী ১৪ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।